ভার্চুয়াল র‍্যাম কি কিভাবে কাজ করে? | What Is Virtual RAM

0
ভার্চুয়াল র‍্যাম কি

ভার্চুয়াল র‍্যাম কি

ভার্চুয়াল র‍্যাম কি এবং কিভাবে কাজ করে? নিত্যদিনই প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটচ্ছে, এবং এই বিকাশিত প্রযুক্তির কারণে আমাদের জীবন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে, তার সাথে আমরা পাচ্ছি নতুন নতুন আবিষ্কার ও।

এখনকার বাজারে নতুন এক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তা হলো ভার্চুয়াল র‍্যাম। আমরা অনেকেই ভার্চুয়াল র‍্যাম সম্পর্কে অবগত নই।

ভার্চুয়াল র‍্যাম আমাদের কি কাজে লাগে,ভার্চুয়াল র‍্যাম কিভাবে ব্যবহার হয় সেটা অনেকেই জানিনা।

[quads id=1]

আমরা যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করি,তারা “অন ড্রাইভ” নামে একটা ফিচারের কথা জেনে থাকি।

যেখানে ল্যাপটপের কিছু ফাইল জমা থাকে। ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল র‍্যাম এমন এক ধরনের মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু ভার্চুয়াল র‍্যাম মেমরি কোনো নতুন আবিষ্কার নয়। এই ভার্চুয়াল র‍্যামের সিস্টেম অনেক আগের ধারনা ছিল। কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা কথা চিন্তা করে এই র‍্যামের সিস্টেম চালু করেনি।

যেহেতু কয়েকদিন বাদেই ফাইভ জি প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে সেই হিসেবে বিবেচনা করে ভার্চুয়াল র‍্যাম সিস্টেম বাজারে এসেছে।

[quads id=1]

এটি প্রথম ইন্টেল ১৯৮২ সালে চালু করেছিল। তখন এর বেশ জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।

কারণ তখন এই ভার্চুয়াল র‍্যাম তেমন একটা কার্যকরী হয়ে ওঠে নি, এর পিছনে দায়ী ছিল কম গতিসম্পন্ন স্টোরেজ। কিন্তু বর্তমানে স্টোরেজ তখন থেকে কয়েক গুণ ফাস্ট হয়েছে।

যার ফলে বর্তমানে এর কার্যকারিতাও কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমান সময়ে আমরা বাজারে নতুন স্মার্টফোন থেকে ভার্চুয়াল র‍্যামের সুবিধা পাচ্ছি। 

কিন্তু ভার্চুয়াল র‍্যাম কি?  ভার্চুয়াল রাম কতটা কার্যকরি?  ভার্চুয়াল র‍্যাম এবং ফিজিক্যাল র‍্যাম এর মধ্যে পার্থক্য কি?

তা চলুন জেনে নেওয়া যাক।  

ভার্চুয়াল র‍্যাম কি?

[quads id=1]

প্রথমে আমাদের জানা উচিত র‍্যাম কি? 

র‍্যাম (RAM) এর পূর্ণরূপ হলো Random Access Memory।  র‍্যাম হল এক ধরনের স্টোরেজ চিপসেট। কিন্তু রাম স্বাভাবিক স্টোরেজের চেয়ে অনেকগুণ ফাস্ট হয়ে থাকে।

ভার্চুয়াল র‍্যাম বলতে, র‍্যামের নির্দিষ্ট সীমা পার হবার পর র‍্যামের চাহিদা মেটাতে আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে র‍্যাম হিসেবে ব্যবহৃত জায়গাকে ভার্চুয়াল র‍্যাম বলা হয়।

কম্পিউটারে যে র‍্যাম লাগানো হয় তাতে নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। আপনার কম্পিউটার চালানোর সময় অনেক সময় বিভিন্ন সফটওয়ার চালু করার কারনে হটাৎ আপনার কম্পিউটার হ্যাং করে

কখন যে আপনার র‍্যামের সীমা পার হয়ে যাবে তা বুঝা যায় না অনেক সময়, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন হয় ভার্চুয়াল র‍্যামের।

প্রথমে ভার্চুয়াল র‍্যাম ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য উদ্ভাবিত হয়েছিল। কিন্তু আজকাল আমরা আমাদের স্মার্টফোনে ভার্চুয়াল র‍্যাম ব্যবহার করছি।

[quads id=1]

এখনকার যুগের আপডেট ফোনে দেয়া হয় এটি  আপনার ফোন যদি ভার্চুয়াল র‍্যাম ও রম সাপোর্ট থাকে তাহলে আপনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেমোরি সুবিধা পাবেন।

যেমনঃ আপনি যখন কোন অনলাইন গেইমস খেলবেন তখন আপনার অভ্যন্তরীণ র‍্যামের সাইজ ছোট থাকলে,ভার্চুয়াল র‍্যাম আপনাকে অতিরিক্ত সুবিধা দিবে।

এছাড়া মোবাইল কোম্পানি চাইলে আপনার ফোনকে আপডেট করার সাথেসাথে ভার্চুয়াল র‍্যামের সাইজ বড় করে দিতে পারে। আপনি যেভাবে গুগল ড্রাইভের স্পেস ব্যবহার করেন, ঠিক একইভাবে আপনি ভার্চুয়াল র‍্যামের স্পেস ব্যবহার করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

[quads id=1]

আপনার ফিজিক্যাল  র‍্যাম মেমোরি এর সীমাবদ্ধ জায়গা যখন শেষ হয়ে যায় তখন আপনার হার্ড ডিস্ক থেকে তার প্রয়োজন মতো জায়গা নিয়ে র‍্যাম হিসেবে কাজ করে।

ভার্চুয়াল র‍্যাম প্রধান স্টোরেজের একটি পার্টিশন বা অংশ (যেখানে আমরা ছবি, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন ফাইল এবং আরও অনেক কিছু সংরক্ষণ করি)।

ডেভেলপাররা প্রধান স্টোরেজ থেকে একটি অংশ আলাদা করে এবং এটি রামের সাথে যোগ করে।

যখন আমরা একটি ডিভাইসে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করি তখন সেটি চালানোর জন্য আমাদের ডিভাইস র‍্যাম ব্যবহার করে।

র‍্যাম একটি নির্দিষ্ট গিগাবাইটে সীমাবদ্ধ।  ফলস্বরূপ, আমরা সীমিত সংখ্যক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারি।

কিন্তু যখন আমরা চলমান অ্যাপস বন্ধ না করে আরো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে চাই তখন আমাদের নতুন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য আরো র‍্যাম এর প্রয়োজন হয়।

ভার্চুয়াল র‍্যাম ইতিমধ্যে চলমান অ্যাপ্লিকেশনগুলি স্টোর করে রাখে এবং নতুন ওপেন করা অ্যাপ্লিকেশনগুলি সঠিকভাবে চালানোর জন্য ফিজিক্যাল র‍্যাম ব্যবহার করে।

[quads id=1]

কিভাবে সেট আপ করবেন?

আপনার র‍্যাম যত জিবি তার উপর হিসাব করে আপনার নির্দিস্ট সেটিংস এ গিয়ে সেই হিসাবটি বসিয়ে ওকে করে আপনার কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করলে ভার্চুয়াল মেমোরি অথবা র‍্যাম সেট আপ হয়ে যাবে। রাম বাড়িয়ে নিন কম্পিউটারকে সুপার স্পিড করুন।

ভার্চুয়াল র‍্যাম বনাম ফিজিক্যাল র‍্যাম 

[quads id=1]

প্রথমে, এটি বোঝারজন্য, আপনাকে অবশ্যই ফিজিক্যাল র‍্যাম  এবং ভার্চুয়াল র‍্যামের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত  ফিজিক্যাল র‍্যাম  এবং ভার্চুয়াল র‍্যামের মধ্যে পার্থক্য করে তা হল গতি।

ফিজিক্যাল র‍্যাম মেমোরি স্টোরেজ মেমরির চেয়ে অনেক দ্রুত।  এজন্য আমরা ফিজিক্যাল র‍্যাম দিয়ে দ্রুত এবং স্মুথ পারফরম্যান্স পাই।

ফিজিক্যাল র‍্যামের রিড এবং রাইট করার গতি ডিস্ক বা স্টোরেজ মেমরির চেয়ে অনেকগুণ দ্রুত।

তাই আমরা যদি ভার্চুয়াল র‍্যাম হিসেবে স্টোরেজ ব্যবহার করি তাহলে আমাদের অবশ্যই  ফিজিক্যাল র‍্যাম এর মত স্পিড পাব না।

পাশাপাশি এটা ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও গতিকেও প্রভাবিত করে।অন্যদিকে, কখনও কখনও, ভার্চুয়াল  র‍্যাম ডিভাইসের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।

যখন আমরা মাল্টিটাস্ক করি, তখন আমাদের কয়েকটি অ্যাপ একসাথে খুলতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয়। এটি আমাদের ডিভাইসের ফিজিক্যাল র‍্যামের অধিকাংশ স্থান দখল করে।

এক্ষেত্রে র‍্যাম  কম হলে ডিভাইস স্লো হতে পারে। তখন আসে ভার্চুয়াল র‍্যামের ব্যবহার।

[quads id=1]

তুলনামূলকভাবে যে অ্যাপগুলি আগে ওপেন করা হয়েছিলো ও এখনও চালু আছে এবং যা আপনি ব্যবহার করেন না সেই অ্যাপগুলি র‍্যাম এর জায়গা দখল করছে। তখন ডিভাইস সেই পুরোনো অ্যাপগুলিকে ভার্চুয়াল র‍্যাম এর মধ্যে রাখে।

পাশাপাশি ফিসিক্যাল র‍্যাম কে নতুন ওপেন করা অ্যাপগুলির কাজ করতে দেয়। যাতে ব্যবহারকারী নতুন অ্যাপসগুলি থেকে সর্বোত্তম পারফরম্যান্স পায়।

কিন্তু যখন ব্যবহারকারী ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা সেই পুরনো অ্যাপগুলির মধ্যে একটি ওপেন করবে তখন অ্যাপ খোলার গতি অবশ্যই স্লো হবে। কারণ অ্যাপ্লিকেশনটি ভার্চুয়াল র‍্যাম এর মধ্যে স্টোর করা ছিল।

কিন্তু ভালো ব্যাপার এটাই যে পুরনো অ্যাপ্লিকেশনগুলো র‍্যাম থেকে মুছে যায়নি এটাই ভার্চুয়াল র‍্যামের অন্যতম ভালো দিক

এতক্ষণ জানলাম ভার্চুয়াল র‍্যামবকি এবং এটি কিভাবে কাজ করে, এখন জেনে নেওয়া যাক ভার্চুয়াল র‍্যাম এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো।

[quads id=1]

ভার্চুয়াল র‍্যামের সুবিধা

  • আপনার কম্পিউটার আগের তুলনার অনেক দ্রুত কাজ করবে।
  • গেম সহ ভারি সফটওয়ার গুলো আগের তুলনায় দ্রত ব্যবহার করতে পারবেন।
  • হ্যাং এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
  • কম্পিউটার অন অফ আগের তুলনায় দ্রুত হবে।
  • হার্ডডিস্কের বিপরীতে এসএসডি ব্যবহার করলে তবে আরো স্পিড বেশি পাবেন।

ভার্চুয়াল র‍্যামের অসুবিধা

[quads id=1]
  • আপনার হার্ডডিস্কের কিছু জায়গা ব্যবহার করা যাবেনা। 
  • র‍্যাম বাড়লেও আপনি কতটুকু র‍্যাম বাড়ছে তা আপনি দেখতে পাবেন না।
  • আপনার হার্ড ডিস্কের স্পিড কম থাকার কারনে র‍্যামের মতো ওই পরিমান স্পিড পাবেন না।

ভার্চুয়াল র‍্যাম ব্যবহার করার আগে আপনার কি কি জানা উচিত?

[quads id=1]

সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে আপনার ডিভাইসের স্টোরেজের রিড এবং রাইট করার গতি কতটুকু। কারণ যদি স্টোরেজের গতি কম থাকে তাহলে সেটা উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়।

আপনার ডিভাইসের স্পেসিফিকেশন চেক করুন কত র‍্যাম এর গিগ আছে। যদি এতে পর্যাপ্ত র‍্যাম থাকে তাহলে ভার্চুয়াল র‍্যাম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

মনে রাখবেন, স্টোরেজ যত ফাস্ট ই হোক না কেন তা কখনোই ফিজিক্যাল র‍্যাম এর মতো পারফর্মেন্স দিতে পারবে না।

আপনার ফোনে ভার্চুয়াল র‍্যামকে আপনি চাইলে আসল র‍্যামের মতো ব্যবহার করতে পারবেন না। ভার্চুয়াল র‍্যাম ব্যবহারে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে।

[quads id=1]

ফোনের অভ্যান্তরীন র‍্যাম আপনি যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক একইভাবে আপনার ভার্চুয়াল র‍্যামকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

ভার্চুয়াল র‍্যাম আপনাকে ফোনের আসল র‍্যামের মতো সবসময় সাপোর্ট নাও দিতে পারে। এটা অনেকটা গুগল ড্রাইভের মতোই স্পেস সুবিধা দিবে। তাই ভার্চুয়াল র‍্যামে হাইপ করবেন না।

ভার্চুয়াল র‍্যাম খোঁজার পরিবর্তে স্মার্টফোন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চতর র‍্যাম ভেরিয়েন্ট এর ডিভাইস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্যও প্রযোজ্য।

ভার্চুয়াল র‍্যাম সেট করার পর আশা করি আপনার কম্পিউটার আগের তুলনায় ভালো কাজ করবে।

About Author

Review ভার্চুয়াল র‍্যাম কি কিভাবে কাজ করে? | What Is Virtual RAM.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: